কৃষক কেন এসওপি (সালফেট অব পটাশ) ব্যবহার করবেন ?
-
-
- এসওপি তে ক্লোরিন বা লবন না থাকায় শাক-সবজি ও ফল-মূলের গুনগত মান অক্ষুণ্ণ থাকে।
- ফসলের পচন রোধ করে এবং অধিক সময় সংরক্ষণে সহায়তা করে।
- ফসলের আকার বড় হয়, ওজনে বেশি হয়, রং সুন্দর ও মসৃণ হয় এবং স্বাদ ও মিষ্টিতা বাড়ে।
- গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
- পানিতে ১০০ ভাগ দ্রবণীয়, তাই গাছ সহজে গ্রহণ করতে পারে।
- এটি আর্দ্রতা ও pH কে প্রভাবিত করে না, তাই মাটির অম্লত্ব বৃদ্ধি পায় না। শুধু তাই নয় এই সার অধিকাংশ বালাইনাশক ও অন্য সারের সাথে সহজেই মিশ্রণযোগ্য।
- পটাশিয়াম ও সালফার বিভিন্ন জৈব ক্রিয়া যেমনঃ চিনি ও শর্করা, আমিষ সংশ্লেষণ এবং পুষ্টি উপাদান স্থানান্তর, এনজাইমের কার্যক্রম ও হরমোন নিয়ন্ত্রণে ব্যপক সহায়তা করে বিধায় ফসলের গুণগতমান বৃদ্ধি পায়।
- অধিকাংশ ফসল যেমনঃ শাক-সবজি ও ফল-মূল ইত্যাদিরা ক্লোরিন বা লবন সয্য করতে পারে না। কারন অয়িরিক্ত ক্লোরিন ফসলের বৃদ্ধি-উন্নয়ন, ফলন, গুণগত মান এবং সর্বোপরি কৃষকের আয় কমিয়ে দেয়। এস ও পি সার প্রায় ক্লোরাইড শূণ্য বিধায়, উচ্চ মূল্যের ফসল (যেমনঃ আদা, রসুন, পেঁয়াজ ইত্যাদি) উচ্চ ফলন ও অধিক।
-
উদ্ভিদের পটাশের অভাবজনিত লক্ষণ:
-
-
- বয়স্ক পাতার আগা ও কিনারা বলদে বা পুড়ে যায়।
- গাছের গোড়া ও কান্ড দুর্বল থাকায় গাছ প্রায়ই হেলে পড়ে।
- অতি খরা, শীত, রোগ ও পোকার আক্রমনে গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
- পাতা, ফুল ও ফল ঝরে যায়।
- গাছের বৃদ্ধি কমে যায় ও কুশি কম হয়।।
- বীজ ও ফল আকারে ছোট হয় এবং কুঁচকে যায়।
- পটায়াম ও সালফার উভয়ই খুব দ্রুত পানিতে দ্রবীভূত হয় বিধায় এস ও পি সার মাটিতে প্রয়োগের সাথে সাথে গাছ গ্রহণের উপযোগী হয়।
- উত্তম সংরক্ষণ গুণসম্পন্ন এই সার আর্দ্রতা ও pH দ্বারা প্রভাবিত হয় না, তাই মাটির অম্লত্ব বৃদ্ধি পায় না। শুধু তাই নয় এই সার অধিকাংশ বালাইনাশক ও অন্য সারের সাথে সহজেই মিশ্রণযোগ্য।
- পটাশিয়াম ও সালফার বিভিন্ন জৈব ক্রিয়া যেমনঃ চিনি ও শর্করা, আমিষ সংশ্লেষণ এবং পুষ্টি উপাদান স্থানান্তর, এনজাইমের কার্যক্রম ও হরমোন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে বিধায় ফসলের গুণগতমান বৃদ্ধি পায়।
- অধিকাংশ ফসল যেমনঃ শাক-সবজি ও ফল-মূল ইত্যাদিরা ক্লোরিন সংবেদনশীল। কারন ক্লোরিন ফসলের বৃদ্ধি-উন্নয়ন, ফলন, গুণগত মান এবং সর্বোপরি কৃষকের আয় কমিয়ে দেয়। এস ও পি সার প্রায় ক্লোরাইড শূণ্য বিধায়, উচ্চ মূল্যের ফসল (যেমনঃ আদা, রসুন, পেঁয়াজ ইত্যাদি) উচ্চ ফলন ও অধিক।
-
সাধারন এম ও পি (MOP) এর পরিবর্তে অধিক মূল্যে এস ও পি সার কেন ব্যবহার করবেন ?
-
-
- এম ও পি সারের থেকে এস ও পি সার ব্যবহারে গাছের অধিক বৃদ্ধি, ফলন ও গুণগতমান বৃদ্ধি পায় কারণ এর ভিতর পটাশিয়াম ও সালফার থাকে বিধায় দ্বিগুণেরও বেশি তাই ফলন হয় এতে ফসল বিক্রি করে অধিক লাভবান হওয়া যায়।
- এস ও পি (K2SO4) যাতে ৫০% পটাশ + ১৭% সালফার = ৬৭% পুষ্টি উপাদান থাকে পক্ষান্তরে এমওপি সারে (KCI) বা লবন থাকে যাতে ৬০% পটাশ = ৬০% পুষ্টি উপাদান থাকে।
- অতিরিক্ত সালফার বাদেও এসওপিতে সর্বোচ্চ ১% CI (ক্লোরাইড আয়ন) থাকে পক্ষান্তরে এমওপিতে ৪৬% CI থাকে। আর প্রাই প্রত্যক ফসলের জন্য অতিরিক্ত (ক্লোরিন) CI আয়ন খুবি ক্ষতিকর। অতিরকিক্ত ক্লোরিন হলে মূল্যবান ও মূখ্য খাদ্য উপাদান সমূহ যেমন: পানি, নাইট্রেট ও সালফেট গ্রহন কমে যায়। সালোকসংশ্লেষণ, প্রোটিন সংশ্লেষণ ও উদ্ভিদ জৈব উদ্দীপকের পরিমাণ কমে যায়। স্টার্চ ও চিনি আত্মীকরণ কমে যায়। উদ্ভিদের জৈব এসিডের পরিমাণ কমে যায়, যার ফলে ফল-মূল ও শাক-সবজির স্বাদ কমে যায়, উদ্ভিদ কোষে জলীয় অংশের পরিমাণ বেড়ে যায়। এইসব কিছু মিলে উদ্ভিদেএ ব্যপক ক্ষতিহয়।
- বেশকিছুদ উদ্ভিদ আছে যারা অতিরিক্ত ক্লোরিন বা লবন সহ্য করতে পারে না যেমন: তামাক, আলু, আখ, মিষ্টিআলু, আঙ্গুর, তরমুজ, কমললেবু, পাতাকপি সহ বিভিন্ন ফসল এই ফসলে এসওপি ব্যবহারে সর্বচ্চ ফলন পাওয়া যাই।
-