কৃষি ঘর ডটকম | Krishi Ghor | Krishi Gor এখানে উদ্ভিদ ও কৃষি প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় ও ফসলের বিভিন্ন সমস্যার সঠিক পরামর্শ প্রদান করা হয়
Product Suggestions
Featured image

কচু ক্ষেতের আগাছানাশক ও আগাছা দমন পদ্ধতি

কচু ক্ষেতের আগাছানাশক

কচু ক্ষেতের আগাছানাশক গুলি একটা বড় অংশ হলো চিকন পাতা জাতীয় আগাছা যেমন: শ্যামা, ক্ষুদে শ্যামা, মুথা, বিরকিন্নি, দূর্বাঘাস, ধানের চারা ইত্যাদি। এই আগাছাগুলো দমনের জন্য (কুইজালোফপ - পি ইথাইল) রাসায়নিক উপাদান যুক্ত আগাছানাশক ব্যবহার করতে হয় এবং এই আগাছানাশক কচুর উপর প্রয়োগ করলে কচুর কোনো ক্ষতি হয় না। বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত “কুইজালোফপ - পি ইথাইল” যুক্ত আগাছানাশকের নাম হলো:

 

 

উল্লিখিত আগাছানাশক ঔষধ গুলোর যে কোন একটা ব্যবহার করলে কচু ক্ষেতের আগাছা গুলো গোড়া থেকে নির্মূল হবে নির্মূল হবে। কচু ক্ষেতের আগাছা নাশক ব্যবহারের উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলো:

 

উপকারিতা

  • পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই: এটি ব্যবহারে কচুর গাছ ঝিমিয়ে পড়া , পাতা লাল হওয়া এইরকম কোন ক্ষতি হয় না সুতরাং কচুর উপরে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই, ব্যবহারে আপনার কাছে সুস্থ সবল থাকবে। 
  • গোড়া নির্মূল: কচু ফসলে চিকন পাতা জাতীয় আগাছা যেমন: ধানের চারা, শ্যামা, ক্ষুদে শ্যামা, দূর্বা, বিরকিন্নি, আদা গেটে এ-ই রকম বিভিন্ন আগাছার গোড়া থেকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করে। 
  • স্বল্প খরচ: এই আগাছা দমন করতে কম খরচ হয়। 
  • নিশ্চিন্তে ব্যবহার: আগাছানাশক কচুর এর কাণ্ড ও পাতায় লাগলেও কচু কোন ক্ষতি হয় না, কিংবা গ্রোথ থামে না।
  • পরিবেশগত সুবিধা: যেহেতু এটি নির্দিষ্ট আগাছার উপর কাজ করে, এইজন্য এটি পরিবেশের জন্য কম ক্ষতিকর। 

 

অপকারিতা 

  • সীমাবদ্ধতা: এই আগাছানাশকে ব্যবহার করলে কিছু আগাছা যেমনঃ ভাদাইল , শুষনি, কিছু চওড়া পাতা আগাছা দমন হয় না। 

 

সতর্কতা

যদিও এটি ফসলের জন্য নিরাপদ, তবুও সঠিক মাত্রা ও প্রয়োগ পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি। এটি কোন ফসলের অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহার না করা উত্তম , তবে এটি সাধারণত অতিরিক্ত ব্যবহার করলে কিছুদিন পর কিছুদিন পর তা স্বাভাবিক হয়ে যায়।

 

সুতরাং, কচুক্ষেতে কুইজালোফপ-পি-ইথাইল যেমন: জি ক্লিন ৫ ইসি , নিক্তি ৮.৮ ইসি , টাইজালো সুপার ৫০ ইসি এর ব্যবহার কৃষকদের জন্য আগাছা নিয়ন্ত্রণে একটি কার্যকর সমাধান ।

 

কচু চাষ

বাংলাদেশে বর্তমানে কচু চাষ খুবি ব্যয়বহুল ও লাভ জনক চাষ। কচু চাষে প্রতি ৩৩ শতাংশ বা ১ বিঘা জমিতে সর্বোচ্চ ৬৫,০০০ টাকা খরচ হয় এবং সর্বোচ্চ ১৪০,০০০ হাজার টাকায় বিক্রি সম্ভব হচ্ছে।

 

বাংলাদেশ কচু চাষ লাভজনক হলেও কচু চাষ একটি চ্যালেঞ্জিং চাষ। কচু ক্ষেতের সব থেকে বড় সমস্যা হলো আগাছা বা ঘাস । কচুর ফসলের আগাছা গুলো সূর্য থেকে আলো ও মাটি থেকে পানি, নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করে , ফলে কচু গাছের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে এবং আগাছা গুলো মাটি থেকে প্রচুর পানি শোষণের ফলে ঘন ঘন সেচ প্রয়োজন। কচু ক্ষেতে অতিরিক্ত সেচ ও আগাছা দমনের জন্য বাড়তি লেবার খরচের কারণে কচুর উৎপাদন ব্যয় অনেকাংশে বেড়ে যায়। তবে এই বাড়তি খরচ কমানোর জন্য কচু ফসলের আগাছা সম্পূর্ণভাবে দমন করতে হবে। আরে আগাছা দমনের জন্য সব থেকে সাশ্রয়ী পদ্ধতি হল আগাছানাশক ব্যবহার করা।

 

কচু ক্ষেতের আগাছা দমন পদ্ধতি 

কচুক্ষেতের আগাছা দমনের জন্য লেবার দিয়ে নিড়ানি দিতে হয় অথবা আগাছানাশক ঔষধ ব্যবহার করতে হয়। তবে এই দুইটার ভিতর সব থেকে উত্তম ও সহজ পদ্ধতি হল আগাছা নাশক ব্যবহার করা। আগাছানাশক ঔষধ ব্যবহার করলে প্রচুর উৎপাদন খরচ কম হয়, এজন্য অধিকাংশ চাষি আগাছানাশক ব্যবহার করতে চান।

 

তবে অনেক চাষি জানেন না যে কচু ক্ষেতে কোন আগাছানাশক ব্যবহার করতে হয়, এই জন্য এই ব্লগে কচু ক্ষেতের আগাছা নাশক সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে ।