কৃষি ঘর ডটকম | Krishi Ghor | Krishi Gor এখানে উদ্ভিদ ও কৃষি প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় ও ফসলের বিভিন্ন সমস্যার সঠিক পরামর্শ প্রদান করা হয়
Product Suggestions
Featured image

বীজতলায় ধানের চারা লাল হলুদ সাদা বর্ণ হয় চারা বড় হয় না ইত্যাদির সমস্যার সমাধান

ধানের বীজতলায় রোগবালাইয়ের আক্রমণ বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান জানুন

 

ধানের বীজতলা :

ধানের খেতে চারা রোপণের পূর্বে এই চারাগুলিকে  বীজতলায় উৎপাদন করা হয় । বীজতলায় ধানের বীজ থেকে চারা উৎপাদন করা হয় এবং এখানে চারা সর্বোচ্চ ৬০ দিন পর্যন্ত অবস্থান করে।

 

বাংলাদেশে ধানের বীজতলা কে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন নামে পরিচিত যেমন : পাতো খোলা , বীজ খোলা ইত্যাদি ।

 

ধানের বীজতলার যে সকল সমস্যা হয়  :

ধানের বীজতলায় বীজ রোপণের কয়েক দিনের মধ্য বিভিন্ন সমস্যার ও রোগবালয়ের উদয় হয় এমনটি হলে ধান চারা বড় হয় না ও চারা রোপণ যোগ্য থাকে না তবে আউশ মৌসুমে রোগ বালায় ও পোকার আক্রমণ বেশি হয় ও বোরো মৌসুমে রোগ বালায়ের আক্রমণ কম হয়।

 

ধানের বীজতলার বা ধানের পাতো খোলার বিভিন্ন সমস্যা নিচে উল্লেখ করা হলো 

 

  1. বীজতলার মাত্রাতিরিক্ত শ্যাওলা বা ছেদলা
  2. ধানের চারা লাল বা হলুদ বর্ণ ধারণ করা
  3. ধানের চারায় খোল পঁচা ,  ব্লাস্ট এর আক্রমণ ।
  4. পোকার আক্রমণ । 

 

বীজতলায় মাত্রাতিরিক্ত শ্যাওলা বা ছেদলা  :

বীজতলায় ধান ফেলার ঠিক ২০ দিনের ভিতর কিছু বীজতলায় প্রচুর পরিমাণে শেওলা বা শৈবাল জন্মায় । শেওলা গুলি পুরো বীজতলার উপরিভাগে ঢেকে ফেলে এতে ধান চারা শ্যাওলার নিচে ঢাকা পড়ে যায়। বীজতলা থেকে শেওলা গুলি সরাতে ব্যর্থ হলে ধান চারা পুষ্টিগুণের  অভাবে নষ্ট হয়।

 

সমাধান  :

ধানের বীজতলা থেকে শ্যাওলা দমনের জন্য প্রতি ১.৫ শতক জমিতে ৫০ গ্রাম  তুঁতে বা copper sulphate ব্যবহার করতে হয় । 

 

ধানের চারা লাল , হলুদ ও সাদা বর্ণ ধারণ :

মূলত ধান বীজতলায় অতিরিক্ত শীত পড়লে চারা সাদা বর্ণ হয় আর পুষ্টিগুণ এবং নাইট্রোজেনের অভাব অথবা ছত্রাকের আক্রমণ হলে ধানের চারা লাল ও হলুদ বর্ণ ধারণ করে।

 

সমাধান :

অতিরিক্ত শীতে বীজতলার পানি একদম কমাতে হবে ও পরিমাণ মতো ইউরিয়া ও গন্ধক সালফার (থিয়োভিট) প্রয়োগ ও সাথে (কার্বেন্ডাজিম + ম্যানকোজেব) যুক্ত ছত্রাক নাশক স্প্রে করলে ধানের বিবর্ণ ভাব কেটে যায় এতে চারা প্রতিকূল পরিবেশে অনেকদিন গাড় সবুজ সতেজ ও রোগবালাই মুক্ত থাকে ।

 

ধানের চারায় খোল পঁচা , ব্লাস্ট এর আক্রমণ :

বীজতলায় আউশ মৌসুমে অথবা একটু গরম বা প্রতিকূল আবহাওয়ার সাক্ষী হলে বীজতলায় খোল পঁচা ও ব্লাস্টের আক্রমণ বেশি হয়।

 

সমাধান : 

বীজতলায় প্রতিকূল আবহাওয়া বা খোল পচা ও ব্লাস্ট এর আক্রমণ হলে (কার্বেন্ডাজিম + ম্যানকোজেব) রাসায়নিক উপাদান যুক্ত ছত্রাক নাশক ঔষধ স্প্রে করলে খোল পচা, ব্লাস্ট দূর হয়। নিচে ঔষধের কিছু নাম দেওয়া হলো 

 

  1. ম্যানসার ৭৫ ডব্লিউপি
  2. কারমিক্স ব্লু ৭৫ ডব্লিউপি
  3. টাইজেব গোল্ড ৭৫ ডব্লিউপি
  4. কমপ্যানিয়ন ৭৫ ডব্লিউপি

 

পোকার আক্রমণ :

ধানের বীজতলার মাজরা পোকার আক্রমণ ঘটে , তবে পোকার আক্রমণ আউশ মৌসুমে বেশি হয়। 

 

সমাধান :

বীজতলার মাজরা পোকার আক্রমণ ঘটে তাই মাজরা দমনকারী কীটনাশক স্প্রে করতে হয় 

যেমন :

 

  1. ভিরতাকো ৪০ ডব্লিউপি
  2. হারকিউলেক্স ৪০ ডব্লিউপি
  3. বাহাদুর ৯৫ এস জি