এবাটা ৩ ডব্লিউডিজি (এবামেকটিন ১% + বেটা-সাইপারমেথ্রিন ২%)
ব্যবহার বিধিঃ
পরিমানমত "এবাটা ৩ ডব্লিউডিজি" ছোট পাত্রে নিয়ে অল্প পরিমান পানিতে মিশিয়ে ভালোভাবে গুলিয়েনিয়ে । পরে মেশানো পানিটা স্প্রে মেশিনে পরিমান মত ঢেলে ভালভাবে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সাবধানতাঃ
খালি গায়ে এবং বাতাসের বিপরীতে স্প্রে করবেন না। স্প্রে করার সময় নাক, মুখ ঢেকে নিন। কোন রকম গন্ধ নেয়া, শরীরে লাগানো ও স্বাদ নেয়া নিষেধ। স্প্রে করার পর শরীর ও কাপড় চোপড় সাবান এবং পানি দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন। ব্যবহারের পর খালি প্যাকেটটি পুড়িয়ে ফেলুন অথবা নষ্ট করে মাটিতে পুঁতে ফেলুন। এবাটা ৩ ডব্লিউডিজি ব্যবহারের পর ১৪-২১ দিন পর্যন্ত ক্ষেতে হাঁস-মুরগী ও গৃহপালিত পশু প্রবেশ করতে দেবেন না এবং ক্ষেতের ফসল খাবেন না।
বিষক্রিয়ার লক্ষণঃ
বমি বমি ভাব, মাথা ধরা, অস্থিরতা, শ্বাসকষ্ট, দূর্বলতা, খিঁচুনি বুক ধরফড় করা, চোখ মুখ লাল হয়ে যাওয়া, লালা নিঃসরন ইত্যাদি লক্ষন দেখা দিতে পারে।
প্রাথমিক চিকিৎসা:
চোখে বা গায়ে লাগলে প্রচুর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভুল করে গলধঃকরন করলে সাথে সাথে অল্প পরিমান লবন মিশ্রিত গরম পানি খাইয়ে বা গলায় আঙ্গুল দিয়ে বমি করান। অচেতন রোগীকে বমি করানোর চেষ্টা করবেন না। অতি সত্ত্বর রোগীকে কীটনাশকের প্যাকেট সহ ডাক্তারের কাছে নিন।
গুদামজাতকরণ:
এবাটা ৩ ডব্লিউডিজি খাদ্যদ্রব্য ও পশুখাদ্য থেকে নিরাপদ দূরত্বে শুষ্ক ও ছায়াযুক্ত স্থানে মজুদ করুন।
প্রয়োগমাত্রা :
ফসল |
পোকার |
(১৬ লিটার পানিতে) |
বেগুন |
এফিড |
২০ গ্রাম |
ধান |
বাদামি ফড়িং,বিছা পোকা, ইত্যাদি |
২০ গ্রাম |
তুলা /আম |
এফিড, জেসিড ও সাদা মাছি |
২০ গ্রাম
|