
লাল শাক ও পালং শাকের আগাছা দমনে কোন আগাছা নাশক ওষুধ ব্যবহার করবেন ও আগাছা দমন পদ্ধতি ।
লাল শাক ও পালং শাক রোপনের ২০ দিনের ভিতরে সকল আগাছা জন্মায় এর পর থেকে আগাছা গুলি জমির সমস্ত পুষ্টিগুণ, আলো, পানি শোষণ করে খুব দ্রুত বড় হয় ও জমিতে রোগবালাই ও পোকামাকড় বয়ে আনে। এই আগাছা গুলিকে দ্রুত দমন না করা গেলে এরা জমির সমস্ত পুষ্টি গুন শেষ করে তাই মূল ফসল তার পরিমাণ মতো পুষ্টি গুন পাই না। এতে ফসলের বৃদ্ধি ও ফলন ৪০% পর্যন্ত কমে যায় এবং সার ও সেচ বেশি লাগে এইজন্য আগাছা দমন করা খুবই জরুরি।
লাল শাক ও পালং শাক ফসলে আগাছা দমন পদ্ধতি :
লাল শাক ও পালং শাক ফসলের আগাছা গুলি দমনের জন্য আগাছা নাশক ঔষধ ব্যবহার করতে হয় অথবা নিড়ানির পদ্ধতির মাধ্যমে দমন করতে হয়।
লাল শাক ও পালং শাক ফসলে যে সকল আগাছা জন্মায় :
লাল শাক ফসলে মূলত শ্যামা, বিরকিন্নি, দূর্বা, বথুয়া , বনপালং , বনগীমা , মুথা , শেঁয়াল কাটা , কাঁটানটে , জয়না , শাঁকনটে ইত্যাদি আগাছা জন্মায়।
লাল শাক ও পালং শাকে কোন আগাছা নাশক ব্যবহার করবেন ?
লালশাক ও পালং শাক ফসলের আগাছা দমনে জন্য একই আগাছা নাশক ওষধ ব্যবহার করতে হয়। এতে ফসলের কোন ক্ষতি হয় না, আগাছা দমনের জন্য “ কুইজালোফপ-পি-ইথাইল ” রাসায়নিক উপাদান যুক্ত আগাছা নাশক ঔষধ ব্যবহার করতে হয়।
বাংলাদেশে অনেক কোম্পানি “ কুইজালোফপ-পি-ইথাইল ” সমৃদ্ধ আগাছা নাশক দেশের বাজারে বিক্রি করে।
কুইজালোফপ-পি-ইথাইল যুক্ত আগাছা নাশক :
“ কুইজালোফপ-পি-ইথাইল ” ব্যবহারে নির্দিষ্ট কিছু আগাছা যেমন শ্যামা, বিরকিন্নি, দূর্বা, আদা কেটে, বা চিকন পাতা জাতীয় আগাছা দমন করে।
কুইজালোফপ-পি-ইথাইল আগাছা নাশক ওষুধের নাম :
- নিক্তি ৮.৮ ইসি (ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার)
- জি ক্লিন ৫ ইসি (জিএমই এগ্রো লিমিটেড)
- টাইজালো সুপার ৫০ ইসি (সুইট এগ্রো লিমিটেড)
কুইজালোফপ-পি-ইথাইল ব্যবহারে সুবিধা :
- এটি ব্যবহার করলে আগাছার গোড়া পচে যায় তাই আগাছাটি নতুন করে জন্মাতে পারেনা
- এর ব্যবহারে লাল শাকের কোন ক্ষতি হয় না।
- একই ফসলে একাধিকবার ব্যবহার করা যায়
কুইজালোফপ-পি-ইথাইল ব্যবহারে অসুবিধা :
- এর ব্যবহারে কম সংখ্যক আগাছা দমন করা যায়
- এটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ফসলে প্রয়োগ করা যায়
বি.দ্র.
কুইজালোফপ-পি-ইথাইল যুক্ত আগাছা নাশক ভেজা জমি বা সেচ দেওয়া জমিতে ব্যবহার করলে বেশি রেজাল্ট পাওয়া যায়।